মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৫
সারাদেশ

শহরের সেরা হোটেল ব্যবসায়ী ডাষ্টবিনের টুকাই

oplus_0

নিজস্ব প্রতিনিধি:

সকাল বেলার ধনিরে তুই ফকির সন্ধ্যা বেলা, গানের মত বাস্তবে সেই হৃদয় বিদারক কাহিনী সৃষ্টি হয়েছে  শেরপুরের নকলা উপজেলায়।

সেই ৯০ দশকে একসময় নকলা উপজেলার সেরা ও সবচেয়ে বড় হোটেল (রেস্তোরাঁ) ব্যবসায়ী আজ ফুটপাতের টুকাই!!

বলছিলাম নকলা শহরের সবচেয়ে বড় হোটেল ব্যবসায়ী আবুল কালাম (৭২) এর কথা। ৯০ দশকের সময় নকলা শহরের সিনেমা হল মোড়ে সেরা (হোটল) ব্যবসায়ী ছিলেন আজ তিনি রাস্তায় রাস্তায় ও ডাস্টবিন এর ময়লা  ভাগাড় থেকে প্লাস্টিকের বোতল ও কাগজ সহ ভাঙ্গারীর মাল টুকিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন।

নকলা উপজেলার ইসিবপুর গ্রামের বাসিন্দা কালামের হোটেলে দিনে রাতে ২ শিফটে প্রায় ২৫ থেকে  ৩০ জন কর্মচারী কাজ করতো, নকলা উপজেলায় সর্বপ্রথম ফ্রিজ নিয়ে এসেছিল  এই কালাম, তখন সেই ফ্রিজ দেখার জন্য উৎসুক জনতা দাড়িয়ে থাকত।

নকলা পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র দেওয়ান শামীম বলেন, কালাম একসময় এই নকলা উপজেলার সেরা হোটেল ব্যবসায়ী ছিল। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস সেই বড় ব্যসায়ী আজ ফুটপাতের টুকাই।

নকলা সমাজ সেবা অফিস এর সাবেক কর্মকর্তা ফজলুল হক বলেন, ৯০ দশকে নকলা আলেয়া সিনেমা হলের সামনে ( বর্তমানে ঝুমুর সিনেমা হল) সামনে  কালাম নাম করা ব্যবসায়ী ছিল আজ সেই কালাম ডাষ্টবিনের টুকাই!! আল্লাহ কখন কাকে সম্পদশালী করে আবার কখন নিঃস্ব করে এটা একমাত্র তার ইচ্ছে। 

এই হোটেল ব্যবসায়ী কালামের স্ত্রী  ৫ টি ছেলে ও ২ মেয়ে থাকার পরও কেউ খোঁজ খবর নেয় না।

এর মধ্যে তার ছোট ছেলে আলী হোসেন ফুটপাতে চা বিক্রি করে। সে জানায় নিজের সংসার চালাতেই হিমসিম খেয়ে দিন চলে বাবা কে কিভাবে দেখব।

ব্যবসায়ী কালামের আজ থাকার জায়গা হয়েছে নকলা উপজেলার পাইস্কা গ্রামের সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পে। কখনো থাকেন অন্যের পাকের (রান্না) ঘরে।

নকলা উপজেলায় আজ নানান শ্রেণির মানুষের মাঝে আলোচনার জন্ম দেয় এই শহরের সেরা হোটেল (রেস্তোরাঁ)  ব্যবসায়ী আজ ফুটপাতের টুকাই

ডেস্ক নিউজ

মন্তব্য করুন

error: Alert: Content selection is disabled!!