মানুষ অহরহ প্রেমে পড়ে; কখনও জেনেশুনে, কখনও নিজের অজান্তে। মনের অলিগলির খোঁজ পায় না মানুষ নিজেই। কখন মন কার প্রেমে পড়ে সে নিজেও জানে না। তবে সব প্রেম পূর্ণতা পায় না। বিভিন্ন কারণে বিচ্ছেদ ঘটে সম্পর্কে। এক সময় যাকে ছাড়া একদমই চলত না, সম্পর্ক শেষ হওয়ার পর সেই মানুষটির সঙ্গে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই থাকে না কোনো যোগাযোগ।
তবে প্রিয় মানুষটি কেমন আছে তা জানতে অনেকের ভেতরেই আগ্রহ কাজ করে। কিন্তু নানা কারণে তা হয়ে ওঠে না। আপনার ভেতরেও যদি এমন আগ্রহ কাজ করে থাকে, কাজে লাগাতে পারেন আজকের দিনটি। মোবাইল ফোনে তাকে পঠাতে পারেন এসএমএস। কিংবা মেসেঞ্জোর বা হোয়াটসঅ্যাপের ইনবক্সেও দিতে পারেন নক। কারণ, আজ “টেক্সট ইওর এক্স ডে” বা প্রাক্তনকে টেক্সট পাঠানোর দিবস।
প্রতি বছরের ৩০ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রে “ন্যাশনাল টেক্সট ইয়োর এক্স ডে” পালন করা হয়। কিন্তু বিশ্বায়নের এই যুগে এক দেশের দিবস অন্যদেশে পালন করতে কোনো বাধা নেই; যদি না তাতে অশান্তি সৃষ্টির সম্ভাবনা থাকে।
তাই চাইলে আপনিও দিবসটি উদযাপন করতে পারেন। খোঁজ নিতে পারেন প্রিয় মানুষটির। লিখতে পারেন তার প্রশংসা করে কোনো কথা। তবে অতীতে সে আপনার সঙ্গে কতটা খারাপ আচরণ করেছে তা নিয়ে আজ ভাবার দরকার নেই। বরং সে আপনার জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল সেটা মনে করিয়ে দিতে পারেন।
যু্ক্তরাষ্ট্রে ১৯৮৮ সাল থেকে এই দিবস পালিত হয়ে আসছে। তখন অবশ্য প্রযুক্তি এতোটা উন্নত ছিল না। বেশিরভাগ মানুষ চিঠিপত্রের মাধ্যমেই প্রাক্তনের খোঁজ নিতে তখন। এরপর ১৯৯২ সালের ৩ ডিসেম্বর এসএমএস মেসেজিংয়ের মাধ্যমে নিল প্যাপওয়ার্থ নামক ২২ বছর বয়সী একজন পরীক্ষা প্রকৌশলী বিশ্বের প্রথম পাঠ্যবার্তা পাঠান। তিনি একটি ব্যক্তিগত কম্পিউটার ব্যবহার করেছিলেন এই মেসেজ পাঠাতে।
আর এখন তো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও মেসেজিং অপশন আছে। যার মাধ্যমে দূর-দুরান্তের সবার সঙ্গেই মুহূর্তে যোগাযোগ করা যায়। বর্তমানে মানুষ প্রতিদিন পরিবারের সদস্য, সহকর্মী ও বন্ধুদের এসএমএস পাঠান। তবে প্রাক্তন প্রেমিক-প্রেমিকা, বন্ধু-বান্ধবী, স্বামী-স্ত্রীকে সাধারণত একে অপরকে এসএমএস দেন না। এজন্য প্রাক্তনদের এসএমএস পাঠাতে উৎসাহিত করতে দিবসটি উদযাপন করা হয়।