টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে চারদিন অনশনের পর আত্মহত্যা করেছেন শান্তা আক্তার নামে এক নারী। এ ঘটনায় সোহাগের মা ছোবুরা বেগম ও বাবা নুরুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ। তবে ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন প্রেমিক সোহাগ।
শনিবার (২২ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার নাগাবড়ি ইউনিয়নের খালুয়াবাড়ী গ্রামে প্রেমিক সোহাগের নিজ ঘরে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত শান্তা আক্তার কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার অলুয়া গ্রামের মোখলেছুর রহমানের মেয়ে। তার একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে। প্রেমিক সোহাগ কালিহাতী উপজেলার খালুয়াবাড়ী গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে।
বিষয়টি স্থানীয় মাতবর ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালেও কোনো প্রতিকার পাননি শান্তা আক্তার। এতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি। একপর্যায়ে দুঃখ ও ক্ষোভে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে প্রেমিক সোহাগের ঘরের ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন শান্তা।
কালিহাতী থানার এসআই মিন্টু চন্দ্র ঘোষ বলেন, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠায় পুলিশ। বিষয়টি নিহতের স্বজনদের জানানো হয়েছে।