নিজস্ব প্রতিবেদক:
সারা দেশে বিক্ষিপ্তভাবে তাপপ্রবাহ চলমান রয়েছে। চলমান এই আবহাওয়া পরিস্থিতি ২০ মে পরিবর্তনের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এদিন সারা দেশের বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হতে পারে।
এর আগে গতকাল বুধবার আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা দেওয়া হয়, যা আগামীকাল শুক্রবার পর্যন্ত চলমান থাকবে। তবে এই সতর্কবার্তা আরও এক দিন বাড়বে বলে জানিয়েছে অধিদপ্তর।
আবহাওয়ায় অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা আরও এক দিন বাড়ানোর সম্ভাবনা আছে। এই সময়ে দেশের পাঁচটি বিভাগে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাবে।’
মনোয়ার হোসেন আরও বলেন, ‘১৯ এপ্রিল কিছু কিছু জায়গা থেকে গরম একটু কমবে। ২০ তারিখে সারা দেশেই বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। তখন গরম আরও কমে যাবে। বৃহস্পতিবার রাজশাহীতে বৃষ্টি হয়েছে। এখনকার বৃষ্টি মূলত কালবৈশাখী বৃষ্টি। হঠাৎ করে বৃষ্টি হয়ে কিছুটা ঠান্ডা থাকার পর আবার গরম অনুভূত হয়।’
এই আবহাওয়াবিদ বলেন, ‘তাপমাত্রা কমতে হলে সারা দেশে ও বিশেষ করে দেশের পশ্চিমাঞ্চলে যদি বৃষ্টি না হয়, তবে কমবে না। ২০ তারিখের বৃষ্টি টানা না হলেও সামনে বর্ষাকাল। এটা মৌসুমি বায়ু প্রবেশের প্রথম ভাগ। জুনের দিকে মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করবে। তাই সামনে খুব বেশি গরম থাকবে না। আবার এই বৃষ্টিও মাঝে মাঝে বিরতি দিয়ে চলবে।’
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, মার্চের ৩১ তারিখ থেকে দেশে ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙে তাপপ্রবাহ চলমান ছিল টানা ৩৬ দিন। মে মাসের ৫ তারিখ থেকে সারা দেশে বৃষ্টি শুরু হয়। এপ্রিলে কোনো ধরনের কালবৈশাখী না হওয়াতে তাপমাত্রা তীব্র ও কোথাও কোথাও অতি তীব্র আকার ধারণ করে। তবে মে মাসে বিরতি দিয়ে ঝড় বৃষ্টি হওয়াতে, গরমের তীব্রতা প্রথম ১০ দিন কিছুটা কম ছিল। সারা দেশেই গড় তাপমাত্রা ৩৫ থেকে ৩৭ ডিগ্রিতে নেমে আসে।
তবে গত দুই দিনে তাপমাত্রা আবার দুই থেকে তিন ডিগ্রি বেড়েছে। এর মাঝেই দেশের কয়েকটি অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টিও আছে। আজ বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল পাবনার ঈশ্বরদীতে ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন থেকে ঢাকার তাপমাত্রা এক ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে হয়েছে ৩৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া রংপুর বিভাগের প্রায় সব অঞ্চলেই তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রির ওপরে ছিল, যা মাঝারি তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচিত।