- উঁচু বালিশে ঘুমান
ঘুমানোর সময় মাথা যেন দেহের সমতল থেকে খানিক উঁচুতে থাকে, তা নিশ্চিত করুন। মাথা উঁচুতে থাকলে স্বাভাবিকভাবেই মুখ বন্ধ হয়ে থাকবে ও লালা পড়া বন্ধ হবে।
- চিত হয়ে ঘুমানোর অভ্যাস করুন
কাত হয়ে কিংবা উপুড় হয়ে ঘুমালে অভিকর্ষজ টানের কারণে মুখ থেকে লালা বেয়ে পড়তেই পারে। এতে বালিশ ভিজে দুর্গন্ধও ছড়ায়। এর থেকে মুক্তি পেতে চিত হয়ে ঘুমানোর অভ্যাস করুন। রাতে ঘুমের ঘোরে যেন কাত হয়ে না শোন, সেটাও নিয়ন্ত্রণে আনুন। অভ্যাসটি অর্জনে কিছুটা সময় লাগতে পারে, তবে কার্যকর।
- মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়া বন্ধ করুন
ঘুমের সময় লালা পড়ার অন্যতম কারণ হলো, নাকের ন্যাসাল সাইনাস বন্ধ বা আটকে থাকা। সাইনাস বন্ধ থাকলে মুখ দিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার প্রবণতা বাড়ে। এ ক্ষেত্রে সাইনাস প্রতিরোধী উপকরণ ব্যবহার করতে পারেন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ইউক্যালিপটাসের মতো এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহার করলে সাইনাস থেকে অনেকটাই রেহাই পাওয়া যায়, ঘুমটাও আরামদায়ক হয়। ঘুমাতে যাওয়ার আগে উষ্ণ পানি দিয়ে গোসল করে নিলেও উপকৃত হবেন। সাইনাসের সংক্রমণ ও অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলাও জরুরি।
- স্লিপ অ্যাপনিয়া বা ঘুমের ব্যাঘাত
এ ছাড়া ঘুমের সময় লালা পড়ার অন্যতম কারণ হলো স্লিপ অ্যাপনিয়া বা ঘুমের ব্যাঘাত। তাই স্লিপ অ্যাপনিয়া হচ্ছে কি না, তা খেয়াল করুন। লালা পড়া, নাক ডাকা ও ঘন ঘন শ্বাসপ্রশ্বাস স্লিপ অ্যাপনিয়ার লক্ষণ। ধূমপানের বদ অভ্যাস, উচ্চ রক্তচাপ কিংবা স্ট্রোকের উচ্চ ঝুঁকি থাকলে স্লিপ অ্যাপনিয়া হয়।
- পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াযুক্ত ওষুধ খুঁজে বের করুন
কোনো কোনো ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে অতিরিক্ত লালা তৈরি হয়। ঠিক কোন ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় অতিরিক্ত লালা তৈরি হচ্ছে, তা খুঁজে বের করুন।