- নিজস্ব প্রতিবেদক:
মার্কিন ইতিহাসবিদদের মতে, ১৮৭৬ সালে অ্যান রিভস জার্ভিস মনে-প্রাণে চাইছিলেন মায়েদের ‘মানবতার সেবার’ প্রতিদান স্মরণে একটি দিবস থাকুক। কিন্তু তিনি বেঁচে থাকতে কেউ মা দিবস প্রবর্তনে এগিয়ে আসেনি। অনেকটা আক্ষেপ নিয়ে ১৯০৫ সালে মারা যান রিভস জার্ভিস। মায়ের মৃত্যুর ২৮ বছর পর আনা জার্ভিস তার মায়ের সমাধিস্থলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তিনিই মায়ের আক্ষেপ ঘুচাবেন এবং প্রবর্তন করবেন মা দিবস।
মায়ের সমাধিস্থলে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে জার্ভিস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি রাজ্যের গভর্নরের কাছে চিঠি লিখেছিলেন এবং সেই চিঠিতে তিনি মে মাসের দ্বিতীয় বোববারকে মা দিবস হিসাবে ঘোষণার উদাত্ত আহ্বান জানান। তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে আনার মায়ের মৃত্যুর ঠিক তিন বছর পর অর্থ্যাৎ ১৯০৮ সালের এক সকালে উইসকনসিনের গ্রাফটনের সেন্ট অ্যান্ড্রুস মেথডিস্ট এপিস্কোপাল চার্চে প্রথম মা দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করা হয়। ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্না সে বছর জন্য তার মায়ের প্রিয় ফুল কার্নেশন কিনেছিলেন এবং মা দিবসের অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন।
এখানেই শেষ নয়, ১৯১০ সালে পশ্চিম ভার্জিনিয়ায় মা দিবসকে ছুটির দিন হিসাবে মনোনীত করে একটি আইন পাস করা হয়, যা যুক্তরাষ্ট্রের অন্য রাজ্যগুলো অনুসরণ করে। কিন্তু আনা জার্ভিস যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে মা দিবসকে ‘জাতীয় ছুটির’ দিনে পরিণত করার ইচ্ছা পোষণ করেন এবং তিনি এজন্য দেশটির পরবর্তী রাষ্ট্রপতিদের কাছে লিখিত আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৯১৪ সালে মার্কিন কংগ্রেস মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে মা দিবস হিসাবে ঘোষণা করে একটি আইন পাস করে। এর পর থেকে মে মাসের দ্বিতীয় রোববার বিশ্বে মা দিবস হিসেবে পরিচিত লাভ করে।