নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিএনপি আবারও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, রিমোট কন্ট্রোলে চলা বিএনপির আন্দোলন সফল হবে না। ভোটারদের ভয় পায় বলেই তারা নির্বাচনে আসে না। তাদের বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের যৌথ সভার শুরুতে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
কেন্দ্রীয় নেতা ছাড়াও ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণ, ঢাকা জেলা এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এ সভায় যোগ দেন। সভা থেকে ওবায়দুল কাদের আজ শনিবার বেলা ৩টায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরের গজনবী রোডে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের আয়োজনে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
দীর্ঘ ছয় মাস পর শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে সমাবেশ করে বিএনপি। এ প্রসঙ্গ টেনে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির সমাবেশ মানেই অগ্নিসন্ত্রাস, বিশৃঙ্খলা ও রক্তপাত। তাদের কাছে রাজধানী ছেড়ে দিলে জনগণের জানমাল সুরক্ষায় সমস্যা হয়। পাল্টাপাল্টি নয়, জনগণের সুরক্ষার জন্যই আমাদের নেতাকর্মী মাঠে রয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে বিএনপির দাবির কোনো যৌক্তিকতা নেই। উপজেলা নির্বাচন নিয়েও ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আমরা কোনো সংঘাতে জড়াব না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এবার উপজেলা নির্বাচনে যে ভোট পড়ছে, তা খুব ভালো বলব না। মোটামুটি ভোট পড়েছে। এ নির্বাচনে বিএনপির নির্দেশনা প্রত্যাখ্যান করে অনেকে অংশ নিয়েছেন। ভুল ও ব্যর্থতার চোরাবালিতে আটকে থাকা বিএনপি কিছুই আদায় করতে পারবে না।
‘জনগণ নয়, প্রতিবেশী দেশকে খুশি করে আওয়ামী লীগ টিকে আছে’ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের এ বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ‘ভারত আমাদের প্রতিবেশী ও পরীক্ষিত বন্ধু। নির্বাচনে তারা কোনো হস্তক্ষেপ করেনি। ভারতকে খুশি করে নয়, জনগণের শক্তিতে টিকে আছে আওয়ামী লীগ।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির সময় মূল্যস্ফীতি হুহু করে বেড়েছিল। তবে আওয়ামী লীগ সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে অনেকটাই সফল। এ সময় তিনি ১৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে দেশজুড়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের কথা জানান।
ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে যৌথ সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল-আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।