প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন বহুমুখী করছে সরকার। গেল কিছুদিন তীব্র গরমে কিছুটা লোডশেডিং হয়েছে। আমরা তা স্বীকার করি। আমি নির্দেশ দিয়েছি লোডশেডিং গ্রামে নয়, এখন থেকে বিদ্যুৎ সংকটে লোডশেডিং হবে গুলশান-বনানীতে। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর বাসভবন এলাকায়ও লোডশেডিংয়ের নির্দেশ দিয়েছি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদে চলমান দ্বিতীয় অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
শেখ হাসিনা বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিশেষ আইন নিয়ে সমালোচনা কেন? পৃথিবীতে এমন কোনো দেশ নেই, যারা ক্যাপাসিটি পেমেন্ট ছাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করেছে। কিন্তু প্রতিদিন এটা নিয়ে চিল্লাচিল্লি শুনি। ঐ আইনে কাউকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়নি।
এ সময় তিনি বলেন, সামিটের বিলম্ব বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য জরিমানা আদায় হয়েছে। বিশেষ আইন নিয়ে যারা কথা বলছেন, সমালোচনা করছেন তারা অর্বাচীন।
রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ নিয়ে সমালোচনা হয় জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, অথচ সেটাই সবচেয়ে ক্লিন বিদ্যুতের সোর্স। রূপপুরে আরো একটি পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।
এদিকে, রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় নিজের নামে আগামীতে আর কোনো প্রকল্প গ্রহণ না করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, নিজের নাম ব্যবহার করে আর যেন প্রকল্প না নেয়া হয়। এমনকি খুলনায় শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে নিজের নাম বাদ দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ভবিষ্যতে কোনো স্থাপনার নাম তার নামে না রাখারও অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।