রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা আলাল কিফায়া। মহল্লার কিছু মানুষ ইতিকাফ করলে সকলেই দায়মুক্ত হয়ে যাবে আর কেউ না করলে সকলেই এর দায়ভার বহন করবে।
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য একদিন ইতিকাফ করবে। আল্লাহ তায়ালা ওই ব্যক্তি ও জাহান্নামের মাঝে তিন খন্দক দূরত্ব সৃষ্টি করে দেবেন। যা দৈর্ঘ্যে ও প্রস্থে পূর্ব পশ্চিম দিগন্ত থেকেও বেশি দূরত্ব সম্পন্ন হবে। (শুয়াবুল ঈমান, হাদিস : ৩৬৭৯)
সুন্নতে মুয়াক্কাদা ইতিকাফের অন্যতম শর্ত হলো রোজা রাখা। রোজা না রাখলে বা কোনো কারণে রোজা ভেঙে গেলে ইতিকাফ হবে না।
কোনো ব্যক্তির সুন্নত ইতিকাফ নষ্ট হওয়ার পর মসজিদ থেকে বের হয়ে যাওয়া জরুরি নয়; বরং বাকি দিনগুলো নফলের নিয়তে ইতিকাফ করতে হবে।
তবে ইতিকাফের সময় ভুলে বা কোনো কারণে কারো রোজা ভেঙে গেলে সেই ব্যক্তির জন্য শুধু ওই দিনের কাজা করতে হবে। পূর্ণ ১০ দিনের কাজা ওয়াজিব হবে না।
রমজানের পর যেকোনো একদিন রোজা রেখে ইতিকাফ কাজা করে নিলে হবে। পরের রমজানে কাজা করলেও পারবে। তবে যেহেতু জীবনের কোনো নিশ্চয়তা নেই, তাই দ্রুতই আদায় করা উচিত।
(বাদায়েউস সানায়ে ২/২৮৬; রদ্দুল মুহতার ২/৪২২)